বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবরা ৭৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন পাবেন। এ সংক্রান্ত ‘সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট নীতিমালা, ২০১৮’ খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এই নীতিমালা আগেও ছিল, ২০০৪ সালে এটা সমন্বিতভাবে করা হয়। সেটাই চলে আসছে। ২০১৭ সালে খসড়াটা আমাদের কাছে এসেছিল, আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মোটামুটি চূড়ান্ত করি। মন্ত্রিসভা এটাকে অনুমোদন দেয়।’
‘বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদেরটা আগে (টেলিফোন নীতিমালার আওতায়) আনা হয়নি। এখন (বিচারপতিদের) সংযুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা করার জন্য অনুশাসন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের টেলিফোনের কোনো নীতিমালা নেই।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আরেকটা অনুশাসন এসেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যিনি চিফ অব প্রটোকল বা রাষ্ট্রাচার প্রধান থাকেন উনাকেও রোমিং সুবিধার মধ্যে যুক্ত করার জন্য। অনেকেই প্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে, এর মধ্যে উনাকেও যুক্ত করা।’
শফিউল আলম বলেন, ‘এছাড়া মোবাইল ফোন সেট ক্রয়ের প্রাধিকারপ্রাপ্তদের (পাওয়ার যোগ্য) জন্য টাকার বরাদ্দ বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এটা অনেক আগের, তা বাড়ানো হয়নি। বর্তমান বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটাকে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।’
মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী সব ধরণের সচিব অর্থাৎ ভারপ্রাপ্ত সচিবরা মোবাইল ফোন সেট ক্রয়ের প্রাধিকারপ্রাপ্ত বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
নীতিমালায় আরেকটি পরিবর্তন আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিবদের মোবাইল ফোন বিল ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।’
যারা মোবাইল ফোন সেট ক্রয়ের প্রাধিকারপ্রাপ্ত তাদের বিলের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘তাদের (মোবাইলের সিম) ব্যাসিক্যালি পোস্ট পেইড, যা বিল আসে তাই দেয়া হয়।’
হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন অনুমোদন
‘হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট একটি পুরনো প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৭ সালে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি করা হয়। সামরিক সময়ের আইন হওয়ায় এটাকে প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন আইন আনা হয়েছে। এখানে তেমন কোনো বড় পরিবর্তন নেই। শুধু কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের ইংরেজি আইনটিকে মূলত বাংলায় করা হয়েছে।’
‘ইমারতের নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ, মানব বসতি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার উপর বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি অনুসন্ধান এবং গবেষণা কার্যক্রমই মূলত এই প্রতিষ্ঠানের কাজ।’
খসড়া আইনে ইনস্টিটিউট পরিচালনা পরিষদের কথা বলা হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী হবেন এর চেয়ারম্যান। ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকলে তারা ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। পূর্ত সচিব হবেন সদস্য। প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী না থাকলে সচিব ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই কমিটিতে ২০ ক্যাটাগরির সদস্য থাকবেন।’
‘কমিটি বছরে কমপক্ষে দু’বার সভা করবেন। অর্ধেকের বেশি সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম হবে। সিদ্ধান্ত হবে সংখ্যা গরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে।’
খসড়া আইনানুযায়ী ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হবেন নির্বাহী কমিটির সভাপতি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই কমিটি আগেও ছিল। তারা দৈনন্দিন কার্যক্রম দেখবে।’